শুক্রবার, ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১০:১৯ পূর্বাহ্ন
আমার সুরমা ডটকম: বহুল আলোচিত সিসিক নির্বাচনে আওয়ামী লীগ তাদের প্রার্থী হিসেবে সাবেক মেয়র বদর উদ্দিন আহমদ কামরানকে চূড়ান্ত মনোনয়ন দিলেও বর্তমান মেয়র আরিফুল হকের মনোনয়ন ঝুলে আছে।
গত ২১ জুন গণমাধ্যমে খবর আসে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশি সিলেট মহানগর সভাপতি নাসিম হোসাইন, সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম জালালী পংকী, সাধারণ সম্পাদক বদরুজ্জামান সেলিম, সহ-সভাপতি ও প্যানেল মেয়র রেজাউল হাসান কয়েস লোদী, মহানগর নেতা ছালাহউদ্দিন রিমন
আরিফের বিরুদ্ধে একাট্টা হয়ে আগামী নির্বাচনে আরিফকে মনোনয়ন না দিতে দলের নীতি নির্ধারকদের কাছেও অনুরোধ করেছেন। তারা বলেছেন আরিফুল হক চৌধুরী এখন আর বিএনপির নেতা নেই। দলের কোনও কর্মসূচিতে তাকে পাওয়া যায়না। তাই তার বাইরে দল যাকে মনোনয়ন দেবে, আমরা সবাই তার পক্ষ হয়ে নির্বাচনে কাজ করবো।
সিসিক নির্বাচনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশি কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র-১ রেজাউল হাসান কয়েস লোদী এখন আর এই বক্তব্যের সাথে একমত নন। তিনি পুরোপুরি ইউটার্ন করেছেন। তিনি এখন বলছেন-দল যাকে মনোনয়ন দেবে তার পক্ষে তিনি কাজ করবেন।
বিষয়টি নিয়ে তার সাথে কথা বললে তিনি দৈনিকসিলেটডটকমকে বলেন, ইউটার্ন নয়, আমি আমার অবস্থানে অটল আছি।
মিডিয়াতে কীভাবে এসেছে সেটা আমি জানিনা। বিএনপির নীতিনির্ধারকদের আমি যা বলেছি এখনও তাই বলছি। তিনি বলেন, বিএনপি একটি বিশাল দল এখানে প্রার্থী হবার প্রতিযোগিতা থাকবে ।
তবে দল কাউকে চূড়ান্ত মনোনয়ন দেবার পর আর সে প্রতিযোগিতা থাকেনা। সকলকে দলীয় মনোনীত প্রার্থীর পক্ষে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হয়। তিনি বলেন, দল যাকে মনোনয়ন দিবে আমি তার পক্ষে অবশ্যই সর্বশক্তি নিয়ে কাজ করবো। কারণ এখানে ব্যক্তি মুখ্য নয় দল এবং ধানের শীষ প্রতীকই মুখ্য বিষয়।
বিএনপির কেন্দ্রীয় একটি সূত্র জানায়,কয়েস লোদীর মতো অপেক্ষাকৃত তরুণ ও সম্ভাবনাময় নেতার রাজনৈতিক প্রজ্ঞা এবং বক্তব্যে বিএনপির নীতিনির্ধারকরা কয়েস লোদীর উপর সন্তোষ প্রকাশ করেন।
সিলেটের অন্যান্য মনোনয়ন প্রত্যাশি নেতাদের বক্তব্য শুনে বিএনপির নীতিনির্ধারকরা বেশ বিব্রতবোধ করেন। এধরনের বক্তব্যকে কেউ কেউ দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের সমান বলেও মন্তব্য করেন।